রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
ছাত্র আন্দোলনে ২ পিস্তল হাতে গুলি চালানো যুবক গ্রেপ্তার মুগদায় ছুরিকাঘাতে এক ভাই নিহত, গুরুতর আহত দুই ভাই হাসপাতালে যাত্রাবাড়ীতে দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবলকে ছুরিকাঘা ত মানিকগঞ্জে স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ স্ত্রীসহ তিনজন পটুয়াখালীর বাউফলে ইজারা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩ দেশটাকে শেখ হাসিনা বাপের জমিদারি ভেবেছিলেন : রিজভী ১০ দিনে, যৌথ অভিযানে ১৪৪ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬৪ ৬ মাস পর জামিন পেলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল গোপালগঞ্জে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর আওয়ামী লীগের হামলা ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে গণঅধিকার পরিষদের বৈঠকে স্বতন্ত্র পুলিশ কমিশন গঠনের প্রস্তাব’

শাস্তির বদলে পদোন্নতি দুর্নীতিবাজ আওয়ামী পন্থী আয়ুর্বেদিক কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ মেহবুবা সাঈদের

ক্ষমতার অপব্যবহার কাকে বলে জানেন?
শাস্তির বদলে পদোন্নতি দুর্নীতিবাজ আয়ুর্বেদিক কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ মেহবুবা সাঈদের।

ঢাকা ক্রাইম নিউজ: দেশে দুর্ণীতি,ক্ষমতার অপ্যবহার,র্দুব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযুক্তরা কোন না কোন কারণে পার পেয়ে যাচ্ছে বিধায় দিন দিন দুর্নীতি বেড়ে যাচ্ছে। আর তাই দুর্নীতিবাজদের উপযুক্ত শাস্তি না হলে দুর্নীতি থামবে না বলে মত সাধারণ মানুষের।

গত ২৮ই মার্চ ২০২৪ই তারিখে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ডাঃ মেহবুবা সাঈদ’কে সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ কাম অধিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) পদে পদায়ন করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বিভিন্ন পত্রিকার বরাতে জানায় ডা. মেহবুবা সাঈদের অপকর্মের অভিযোগ নিয়ে একাধিকবার বিভাগীয় তদন্ত হলেও কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। গত ১২ মার্চ ৫টি অভিযোগ উল্লেখ করে তাকে বদলিসহ ন্যায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধনের পর স্বাস্থ্যের ডিজিকে চিঠি দেন কলেজের শিক্ষার্থীরাও। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যের কেউ মন্তব্য করতে চায়নি।

ডা. মেহবুবা সাঈদকে নিয়ে ১১ই মে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন “শাস্তির সুপারিশ দুদকের মন্ত্রণালয় দিল পদোন্নতি” শিরোনামে একটি নিউজ প্রকাশিত হয়।

তারপরও কোন ক্ষমতা বলে কোন এক অদৃশ্য শক্তির ক্ষমতায় কিছু হয়নি ডা. মেহবুবা সাঈদের।

উক্ত বিষয়ে একাধিক শিক্ষক বলেন তদন্তে প্রমাণিত কর্মকর্তাকে শাস্তি না দিয়ে প্রমোশন দেওয়ার ঘটনা দিনের আলোয় ডাকাতির মতো ঘটনা। যা আইনের শাসনে পরিপন্থি।

ডা. মেহবুবা সাঈদের বিরুদ্ধে খোঁজ নিয়ে জানা যায়।

সরকারি গাড়ির যথেচ্ছ ব্যবহার করে অধ্যক্ষ কাম অধিক্ষক ডা. মেহবুবা সাঈদ (সোমা)।

সরকারি গাড়ি স্বামীর নিকেতন অফিস যাতায়াত নিজ বিলাসী ভ্রমণসহ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে যা কিনা পুর্বের কর্মস্থল বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা গাড়ির মিটার চেক বা তার মায়ের ধানমন্ডি অথবা স্বামীর বাসাবো বাসায় গিয়ে খোঁজ নিলে প্রমাণ পাওয়া যাবে।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায় গাড়ি মেরামত না করে চাপ প্রয়োগ করে গাড়ি চালকের মাধ্যমে লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অপ্রয়োজনীয় মেরামতের ভূয়া বিল ভাউচার করে, সাড়ে তিন লক্ষ টাকার বিল উত্তোলন করে নিয়েছে ডা. মেহবুবা সাঈদ, তার ব্যক্তিগত সহকারি (পিএ) আব্দুল আলিম।

সরকারি তেলের পাম্প নির্দিষ্ট থাকার পরও একদিন দুদিন পর ৫০০/১০০০ টাকার তেল ক্রয় করছে কিন্তু গাড়িচালককে দিয়ে আবেদনের মাধ্যমে ৫০ লিটার করে মাসে ২১০ লিটারের বিল উত্তোলন করে বাকি টাকা যাচ্ছে কোথায় যার যথেষ্ট প্রমাণ আছে প্রতিবেদকের কাছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারীরা আরো অভিযোগ করে বলেন সরকারি ঔষধ, অফিসের জন্য ক্রয়কৃত টিস্যু, এয়ার স্প্রে, এরোসলসহ অন্যান্য জিনিস ব্যবহারের জন্য বাসায় নিয়ে যাওয়া।

যা কোন আইনে বৈধ?
তা জানতে চেয়েছেন অনেক কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

তার ব্যাপারে কোন কিছু বললে বা প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে যাকে তাকে দেওয়া হয় বদলির হুমকি।

যার প্রমাণ সরেজমিনে তদন্ত করলে সত্যতা পাওয়া যাবে।
এতো কিছুর পরও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, অথবা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব নেতা ডাঃ দিগন্তর শক্তির বলে শাস্তির হাত থেকে বার বার রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে এমন শংকা সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীদের।

প্রসঙ্গত….
৫ই এপ্রিল ২০২৩ সালে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা
কর্মকর্তা ডাঃ মেহেবুবা সাঈদ সোমার অপসারণে দাবিতে গণআন্দোলন কর্মসূচী
পালণ করেছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ। কমপ্লেক্সের
প্রধান ফটকের সামনে এসব কর্মসূচী পালণ করা হয়। এ সময় তারা ডাঃ মেহেবুবা
সাঈদ সোমার বিরুদ্ধে দুর্ণীতি,ক্ষমতার অপ্যবহার,র্দুব্যবহার ও
স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উত্থ্যাপন করে নানা শ্লোগান দেন।

পরে বিক্ষুব্ধরা মদনগঞ্জ-টু মদনপুর সড়কে অবস্থান করলে ওই রুটে প্রায় চলাচল
বন্ধ থাকে, এবং আন্দোলনকারীরা সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে অবহিত করে যা কিনা নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ দৈনিক ও অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে জানা যায়। আন্দোলনে হাসপাতালের কর্মচারীরা তাদের ১৪ দফা সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।

পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় শাস্তি তো হয়নি তাকে বদলি করা হয়েছে সহকারী পরিচালক পদে সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পদোন্নতি দিয়ে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত