রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স-
ঢাকা ক্রাইম নিউজ: দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্যব্যবস্থা সংস্কারে স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ১২ সদস্যের একটি প্যানেল গঠন করেছে সরকার। এই প্যানেলের সভাপতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজ এবং সদস্য সচিব জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ শাফি মজুমদার।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ গত মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিষয়ভিত্তিক প্রয়োজনীয় সংস্কার ও চিকিৎসা সেবার গুণগত মান উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণের জন্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করা হলো।
প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান, অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসি বেগম, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যাপক ডা. ফিরোজ কাদের, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা, ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক বিভাগের অধ্যাপক ডা. শাকিল আহমদ, বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চের (সিআইপিআরবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অধ্যাপক ডা. ফজলুর রহমান, বিএসএমএমইউয়ের মেডিসিন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ জলিল চৌধুরী ও এমএইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজের ডরমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সরকার মাহবুব আহমদ শামিম।
প্রজ্ঞাপনে প্যানেলের কার্যপরিধি উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো-১. বিষয়ভিত্তিক সংস্কারের জন্য নীতি-নির্ধারণ ২. সব স্তরে চিকিৎসা শিক্ষার বিশ্বমানের স্বীকৃতি এবং উচ্চ শিক্ষাকে আধুনিকায়নের বিষয়ে পরামর্শ ৩. নগর, গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংস্কার ও কার্যকর ৪. স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে সব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জনবল ও যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় নীতি-নির্ধারণী ও কাঠামোগত সংস্কার সম্পর্কিত পরামর্শ এবং প্রধান প্রধান চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো, যেমন বিএমডিসি, বিএমআরসি, বিএনএমসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের রেগুলেটরি কাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কার ও শক্তিশালীকরণের বিষয়ে পরামর্শ।