রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
ছাত্র-জনতার ১ দফার বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশ করা আইইডিসিআর পরিচালক বহাল তবিয়তে
মোঃ সোহেল রানা-
ঢাকা ক্রাইম নিউজ: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি করা চিকিৎসক নার্সরা যেন কোনভাবেই এই বিপ্লবের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র করতে না পারে সে ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়াসহ স্বৈরাচারের দোসর চিকিৎসক নার্সদের যথোপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন বৈষম্যের শিকার অনেক কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
স্বৈরাচারের দোসরেরা ৫ আগস্ট খুনি হাসিনার পালানোর আগ পর্যন্ত প্রত্যক্ষভাবে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। বিশেষ করে ৩ই আগস্ট ফ্যাসিবাদের পক্ষ হয়ে “শান্তি কামি চিকিৎসক ও নার্স সমাজে”র ব্যানারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শান্তি সমাবেশে অংশগ্রহণকারী আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ তাহমিনা শিরীনসহ স্বৈরাচারের দালাল চিকিৎসক নার্সরা ছাত্র সমাজের বিরুদ্ধে গিয়েও এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের দোসর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলমসহ অনেকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলসহ অনেককে বদলি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরানো হয়েছে এবং হচ্ছে।
কিন্তু ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন (আইইডিসিআর) পরিচালক দুর্নীতিবাজ অধ্যাপক ডাঃ তাহমিনা শিরীন ও ডাঃ মঞ্জুরুল মেডিকেল অফিসার (ওএসডি) ও তাদের দোসররা এখনো বহাল তবিয়তে।
গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন হলে টানা আইইডিসিআরে অফিস একক কর্তৃত্বের বলয়ে অফিস করছেন অধ্যাপক ডাঃ তাহমিনা শিরীন ও ডাঃ মঞ্জুরুল।
ইদানিং শীর্ষ কর্মকর্তাদের আনুকূল্য পেতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে দুর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তা।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগের দিন ছিল রোববার (৪ আগস্ট)। রাজধানীসহ সারা দেশে সে দিন ১১৭ জন ছাত্র-জনতার লাশ পড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলি ও আওয়ামী ক্যাডারদের হামলায়। আহত হন হাজার হাজার মানুষ। ১৬ বছরের স্বৈরশাসনের আগের দিন গদি রক্ষায় মরণকামড় দেয় আওয়ামী লীগ সরকার।
এমন একটি দিনে আইইডিসিআরসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে “শান্তি কামি চিকিৎসক ও নার্স সমাজে”র ব্যানারে শান্তি সমাবেশ পালন করে।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যখন শিক্ষার্থী ও জনতার লাশ পড়ছিল, রক্ত রঞ্জিত হচ্ছিল রাজপথ, তখন ওই আন্দোলনকে জঙ্গীদের আন্দোলন অভিহিত করে আইইডিসিআর পরিচালকসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্লোগান ছিল শেখ হাসিনার পক্ষে। ওই দিন হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ছাত্র-জনতার এক দফার আন্দোলনের বিপক্ষে নামায় আওয়ামী সরকার।
মানববন্ধনের সেসকল ছবি ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন মাধ্যমে। কয়েকজন কর্মচারীর সাথে কথা বলে জানা যায় ওই দিন সবাইকে কর্মসূচিতে আসতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এসব বিষয়ে কথা বলতে পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ তাহমিনা শিরীনকে ফোন দিলেও উনি জানান সরকারি আইন অনুযায়ী ছাত্রদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের শরিক হওয়া উনার জন্য সঠিক।
এবং কেনাকাটার ব্যাপারটি অস্বীকার করে বলেন আমাদের অডিট আছে দেখতে পারেন।
ডাঃ তাহমিনার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ,
ডাঃ জাকির হাবিব (সিএসও) ভাইরোলজি চার্জ না বুঝিয়ে দেওয়াসহ ভাইরোলজি ডিপার্টমেন্টের সকল কেনাকাটা করা হয় ডাঃ মঞ্জুরুলের মাধ্যমে অভিযোগ।
স্বৈরাচারের দোসর অধ্যাপক ডাঃ তাহমিনা শিরীন ও ডাঃ মঞ্জুরুলের যথোপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন বৈষম্যের শিকার আইইডিসিআরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
