শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স-
ঢাকা ক্রাইম নিউজ: গোপালগঞ্জে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর হামলা চালানো হয়। ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া
গোপালগঞ্জে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর গাড়ি বহরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর, এস এম জিলানী ও তার স্ত্রী জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রওশন আরা রত্নাসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী মারাত্মক আহত হয়েছেন।
এ ছাড়া সময় টিভির ক্যামেরা পার্সন এইচ এম মানিককে বেধড়ক পিটিয়ে আহত ও তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতীর একটি একটি সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিক উজ্জামান জানান, ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের গাড়িবহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়ার জনসভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। গাড়িবহরটি ঘোনাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের একদল সশস্ত্র লোক গাড়ির গতি রোধ করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ সময় এসএম জিলানীর গাড়িসহ অন্তত ৮/১০টি গাড়িতে ভাংচুর চালায় হামলাকারীরা।
এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা সড়কের পাশে থাকা গাছের ডাল ভেঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিলে পিছু হটে যায় তারা। কিছুক্ষণ পর আওয়ামী লীগের কর্মীসমর্থকেরা মাইকিং করে সংঘটিত হয়ে আবারও হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে এসএম জিলানীসহ অন্তত ২০ জনকে রক্তাক্ত জখম করে।
আহতদের মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি নাসির আহমেদ মোল্লা (৫৫), স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মাহমুদ খান মুরাদ (৪৬), জেলা যুবদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক রাজু বিশ্বাস (৩৯), ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির লিল্টু মুন্সি (৪৫), ঢাকা মতিঝিলের স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা বাদশা মিয়া (৩৫), স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিশানসহ (৩১) ১০ জনকে তাৎক্ষণিক গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় গুরুতর আহত অবস্থায় এস এম জিলানীকে উন্নত চিকিৎসার ঢাকায় পাঠানো হয়।
বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। চরম ভোগান্তিতে পড়েন ওই সড়কে চলাচলকারীরা।
ঘটনার সময় সেখানে পুলিশ দেখা না গেলেও ঘটনাস্থল থেকে বেশ দূরে পুলিশের অবস্থান দেখা যায়। গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানান, কে বা কারা হামলা করেছে তা তিনি জানেন না। তবে তিনি বলেন, ‘একবার শুনেছি বিএনপি করেছে আর একবার শুনেছি আওয়ামী লীগ করেছে। ঘটনার সময় আমরা ছিলাম না তাই ঘটনার বিষয় তেমন জানা নেই। ওই সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে সন্ধ্যার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এলাকা এখন শান্ত রয়েছে।