অনলাইন ডেস্ক-
ঢাকা ক্রাইম নিউজ: শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “ছাত্রদের গুলি করে পঙ্গু করে দেওয়ার পর হাসপাতালে দেখতে যাওয়া ও মায়া কান্না এবং সাহায্য করবার কথা বলা প্রতারণার আরেকটি নজির।
সরকারকে বলব, সকল হত্যাকাণ্ডের (কোটা আন্দোলনে) দায় নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন।
ফখরুল বলেন, সরকার প্রথম থেকেই সরকারি গুণ্ডাবাহিনীকে কোটা সংস্কার আন্দোলন দমনে লেলিয়ে দেয়। বিরোধী নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি এখন কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকেও ব্লক রেড দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আইডি কার্ড দেখালেও গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের গুম করে কীভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তা তাদের শরীরের ক্ষত চিহ্নিত দেখলেই অনুধাবন করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার জনরোষে পড়ার ভয়ে জোর করে ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরে রাখতে দেশে কারফিউ দিয়ে রেলসহ সকল যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছে। জনগণকে কর্মহীন রেখে অনাহারে দিনাতিপাত করতে বাধ্য করছে।
অবৈধ পন্থায় সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ক্ষমতা আগলে রাখার জন্য বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে মসনদ ধরে রেখেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে কল্পকাহিনী রচনা করা হচ্ছে।
বিরোধী মত দমনে সরকার ‘মধ্যযুগীয় নির্যাতনের পথ’ বেছে নিয়েছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক নুরুল হক নুরকে রিমান্ড শেষে আদালতে নিয়ে আসার সময় গণমাধ্যমে যে চিত্র এসেছে, তা যেকোনো বিবেকবান মানুষকে আলোড়িত করবে। রিমান্ডে এমনভাবে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে যে তিনি দাঁড়াতেই পারছে না।
কোটা আন্দোলনের অন্যতম তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদারকে শুক্রবার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা তুলে নিয়ে গেছে। ২৫ জুলাই গভীর রাতে বাসা থেকে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দ্য মিরর এশিয়ার ঢাকা প্রতিনিধি সাঈদ খানকে পুলিশ তুলে নিয়ে রাতভর নির্যাতন চালায়। এসব ঘটনা প্রমাণ করে যে, মধ্যযুগীয় নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার। আমরা এমন ঘটনাগুলোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।